বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি: বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফলাঘর গ্রামে মদ পান করে এক যুবকের মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফলাঘর গ্রামের কালিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত কেরামত আলী শরীফের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৮) গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় অধিক পরিমান চোলাই মদ পান করে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় চুন্নু মিয়ার বাড়ীর সামনে বসে চেচামেচি করতে থাকে। তার চেচামেচিতে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখে রফিক মাটিতে পরে আছে। স্থানীয় লোকজন রফিকুলের স্বজনদের খবর দিলে তারা রফিকুলকে চিকিৎসার জন্য বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। বিষয়টি বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোষ্ট মর্টেমের জন্য শেবাচিমে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে রফিকুলের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম জানায়, রফিকুলের অসুস্থতার কথা জানতে পেরে তিনি তাৎক্ষনিক ছুটে যান। রফিকুল কথা বলতে পারছিল না হাত দিয়ে শুধু বুক থাবরাতে থাকে। বুকে প্রচুর জ্বালাপোড়া হচ্ছিল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতের নেয়ার পথে রফিক মারা যায়। রফিকুল দীর্ঘদিন যাবৎ নেশায় আসক্ত ছিল। নেশা করে প্রায় রাতেই পরিবারের লোকজনকে গালিগালাজ করত। এজন্য তার
ভাই তাকে একবার সেফ হোমেও ভর্তি করে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে এসে কিছু অসৎ বন্ধুদের সাথে মিশে আবারও নেশার জগতে ডুকে যায়। বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ওইদিন রাতে মৃত রফিকুল পাদ্রীশিবপুরের বিটু গোমেজের বাড়ি থেকে চোলাই মদ পান করে তার নিজ বাড়িতে যাবার পথে মারা যায়। তাছাড়া প্রায় প্রতি দিন সন্ধ্যায় মৃত রফিকুলও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা বিটু গোমেজের বাড়িতে মদের আসর জমাতো। এমনকি বিটু গোমেজের মেয়ে শিল্পি গোমেজের সাথে মৃত রফিকুলের অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো বলেও নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একাধিক সুত্র জানায়। এভাবে নেশার কারণে অসংখ্য ঘটনা আর দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এলাকার তারুণ-তরুনীরা। এতে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও সচেতন মহল। নেশা করাটা এখন শিক্ষিত যুবক যুবতীদের একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সভ্যতার নামে এসব অসভ্যতা সামাজিক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে বলেও ধারনা করছেন বিশিষ্টজনেরা। এলাকাবাসী চোলাই মদ পান করে রফিকের জীবন নাশের জন্য অবিলম্বে পাদ্রীশিবপুরের বিটু গোমেজের মদের আখড়া বন্ধ করে তাকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় অকালে এলাকার অনেক তরুনের জীবন এভাবে ঝড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply